পীর-মাশায়েখ, আলি-আওলিয়া,
সুফি দরবেশ ও মর্দে মুজাহিদ উপমহাদেশে ইসলামের ইতহাসের এক
অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর তাদের মাজার ও নানা কীর্তিসমূহ ইসলাম ও
মোগলমানদের ঐতিহ্যের ধারক। ভূত-প্রেত, অগ্নি উপাসনা গ্রহ-নত্রের
পূঁজা জড়বাদিতা ও পৌত্তলিকতার তমসায় আচ্ছন্ন এ উপমহাদেশে ইসলামের
আলোকবর্তিকা প্রজ্বলিত করতে কত সংখ্যাক অলি-আল্লাহ, গাউস-কুতুব,
সুফি-সাক আর মুজাহিদ এ দেশে এসেছেন এবং তাঁদের অনুপ্রেরণায় এ মাটিতে
কত সংখ্যাক বীর মুজাহিদ, সাধক পুরুষ জন্ম নিয়েছেন তার সঠিক কোনো
পরিসংখ্যান নেই। এসব সাধক পুরুষরা জ্ঞানের শক্তি, ধ্যাণের শক্তি
দিয়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর বীর মুজাহিদরা হায়দরি হাঁক হেঁকে
শমশেরি শক্তি দিয়ে ইসলাম ও মোগলমানদের দুশমনদেরকে প্রতিহত করেছেন।
নিস্কন্টক করেছেন মোগলমানদের স্বাধীনতা। অনেক ত্যাগ তিতিা স্বীকার
করে এ উপমহাদেশকে মোগলমানদের বাসযোগ্য করে এ মাটির নিচে ঘুমিয়ে
আছেন অসংখ্য সুফি-দরবেশ, অসংখ্য মুজাহিদ। তাদেরই মহিমায় মহিমান্বিত
হয়ে আছে এদেশের মাটি, প্রকৃতি আর প্রাণীকুল। আজকের প্রজন্ম এসব
মহান পুরষদেরই উত্তরাধিকার। আর তাই ‘মহীর পদে মহা নিদ্রার্বৃত’
থেকেও তারা আমাদের চিন্তা-চেতনা আর বিবেকের জগতকে অনুশাসন করে
চলছেন যুগের পর যুগ ধরে। এমনি এক সাধক মুজাহিদের মাজারের নাম
তরোয়ার মাজার বা কাবুল শাহ’র মাজার।
নরসিংদী জেলা শহর থেকে ১ কিলোমিটার পশ্চিমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও
ঢাকা- চট্টগ্রাম রেল সড়কের বাসাইল রেল ক্রসিংয়ের সামান্য পূর্ব রেল
লাইনের লাগ দেিণ এক খণ্ড উচ্চ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত এ মাজারটি।
নরসিংদীর এ কাবুল শাহ’র মাজারটির নাম গুনেননি- এমন লোকের সংখ্যা
খুবই কম। সকলেই মাজারটিকে জনৈক কাবুল শাহ’র মাজার বলে জানে এবং
মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত মহান ব্যাক্তিটিকে শুধুমাত্র অলৌকিক
শক্তির অধিকারী একজন আউলিয়া বলে অন্ধভাবেই মানে। কিন্ত এ অলৌকিক
শক্তির অধিকারী মহান সাধক ব্যক্তি কে ছিলেন, কী-ই-বা ছিল তার পরিচয়,
কোত্থেকে, কীভাবে তিনি এখানে এসেছিলেন এবং কী ছিল তার জাগতিক জীবন
বা জীবন ব্যবস্থা-এর সঠিক কাহিনী কেউ জানে না। এ কাহিনী আজও
ইতিহাসের পাতায় বিপ্তিভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কাবুল শাহ’র প্রকৃত
কাহিনী খুজে বের করতে হলে ইতিহাসের অনেক পথ মাড়াতে হবে এতে কোনো
সন্দেহ নেই। তবে এ প্রতিবেদক সম্প্রতি এলাকার প্রবীণ
ব্যাক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থের সামান্য
অলিগলি বেয়ে কাবুল শাহ’র বীরত্বগাথা কর্মজীবন তথা প্রাতিষ্ঠানিক
জীবন সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু তথ্য খুজে বের করা চেষ্টা করেছেন।
কাবুল শাহ’র প্রকৃত নাম মাসুম খান কাবুলী। কোনো কোনো ঐতিহাসিক তাকে
মাসুম কাবুলী, কোনো কোনো ঐতিহাসিক তাকে শুধু মাসুম খান বলে উল্লেখ
করেছেন। মাসুম খান কাবুলি ছিলেন দিল্লীর সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহী একজন বীর আফগান। ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে দাউদ খান কররানীকে
নির্মমভাবে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলায় কররানী বংশীয় আাফগান স্বাধীন
সুলতানাতের পতন ঘটানোর পর সম্রাট আকবরের অধীনে নামে মাত্র বাঙলা
মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হলেও দীর্ঘ ৪০ বছর এদেশে কোনো শাসন-শৃংখলা ছিল
না। সম্রাট আকবরের একজন সুবাদার এবং কয়েকটি সেনানিবাসই ছিল মোগলদের
অস্তিত্বের চিহ্ন। রাজধানী ও সেনানিবাসগুলোর এলাকাগুলো ছাড়া সারা
বাঙলা ছিল মূলতঃ বিচ্ছিন্ন আফগান-বিদ্রেহী ও বাংলার বার ভূঁইয়াদের
নিয়ন্ত্রাণাধীনে। বার ভূইয়া ও আফগান বিদ্রোহীদের বিরোধিতার মুখে
মোগল শাসন ব্যর্থতায় পর্যবর্সিত হয়। এ সময় ‘সম্রাট আকররের
সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে যে ক’জন আফগান বিদ্রোহী বীরদর্পে
মোগল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশরীরে যুদ্ধ করেছেন, তাদের মধ্যে
সম্ভবতঃ সাহসী এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন মাসুম খান কাবুলি।
ভাটির রাজ্যের শাসক ঈশা খাঁ’র সঙ্গে মোগল বাহিনীর যত গুলো খন্ড
যুদ্ধ হয়েছে তার প্রায় সবগুলোতেই মাসুম খান কাবুলি ছিলেন প্রধান
সেনাপতি। সম্রাট-আকবরের মোগল বাহিনী একটি যুদ্ধেও মাসুম কাবুলীকে
পরাস্ত করতে পেরেছে বলে জানা যায়নি। মোগল বাহিনীর সাথে কয়েকটি খন্ড
যুদ্ধে মাসুম খান কাবুলীর হাতে নিহত হয়েছেন বাংলার দ্বিতীয় মোগল
সুবেদার মুজাফফর খান তুরবতী, মোগল সেনাপতি তরসুন খাঁন এবং সম্রাট
আকবরের সবচে বিশ্বস্ত সেনাধ্য বহুল আলোচিত মানসিংহের পুত্র দুর্জণ
সিংহসহ বহু সংখ্যক মোগল সৈন্য। মাসুম খান কাবুলীর সাহসিকতা বীরত্ব
এবং রণ-নৈপুণ্যের কথা শুনে সম্রাট আকবর তাকে জীবিত গ্রেফতার করা
জন্য সুবাদার শাহবায খানকে নির্দেশ দিয়েছেলেন বলে জানা যায়। কিন্তু
সম্রাট আকবরের কোনো সেনাপতি তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উপরন্তু
মোগলদের অপরিমিত জান ও মালের তিসাধিত হয়েছে মাসুম কাবুলীর হাতে।
ঐতিহাসিকদের মতে, মাসুম খান কাবুলী প্রথমত বিহারের শাসনকর্তা ছিলেন।
সম্রাট আকবর বিহারকে করুল গত করার জন্য মোগল বাহিনী পাঠিয়ে অতর্কিত
হামলা চালিয়ে মাসুম খানকে মতাচ্যুত করে তার সভাসদ-মুজাফফর খান
তুরবতীকে বিহারের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। মাসুম খান কাবুলী বিহার
থেকে বিতাড়িত হয়ে কাবুলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ১৫৭৯ খ্রীস্টাব্দে
সম্রাট আকবর মুজাফফর খান তুরবর্তীকে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত করেন।
কিন্তু তার অযোগ্যতা ও দুঃশাসনের ফলে, মাত্র এক বছরের মধ্যেই
সেনাবাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠে। সেনা সদস্য অর্থ আত্মসৎসহ বিভিন্ন
নৈরাজ্যকর কার্যকলাপে মত্ত হয়ে উঠলে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
বেসামরিক কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার গুরু
করে। এক পর্যায়ে বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঘুষ-দুণীতিতে গা
ভাসিয়ে দেয়। শুরু হয় লুটপাট দেখা দেয় চরম অব্যবস্থা। এ অবস্থায়
বাংলা ও বিহারের সামরিক কর্মচারীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এদিকে
সম্রাট আকবরের হিন্দু তোষণনীতি ও ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে অতীষ্ঠ
ভারতবর্ষের আলেম সমাজ তথা ধর্মপ্রাণ মোগলমানদের ব্যপক অসন্তোষ এবং
বাংলা ও বিহারে মোগল সামরিক কর্মচারীদের বিদ্রোহ মোগল সাম্রাজ্যে
ন্যক্কারজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় কাবুলের শাসনকর্তা
সম্রাট আকবরের বৈমাত্রের ভাই মির্জা হাকিম সম্রাটের বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিল্লরি মসনদ থেকে আকবরকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা
গ্রহণ করে। তারা প্রাথমিকভাবে পাঞ্জাব আক্রমণ করে লাহোর দখলের
প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ সময় মুজাফফর খান তুরবতী বাংলা ও বিহারের
বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হয়ে তান্ডা দূর্গে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
মাসুম খান কাবুলী বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিয়ে ১৫৮০ খ্রীস্টাব্দে ১৯
এপ্রিল সুবাদর মুজাফফর খন তুরবতীকে হত্যা করেন। এরপর বিদ্রোহীরা
আকবরের বৈমাত্রেয় ভাই মির্জা হাকিমকে দিল্লীর সম্রাট বলে ঘোষণা করে
তার নামে খুৎবা পাঠ করেন এবং মাসুম খান কাবুলীকে বিদ্রোহী সরকারের
প্রধানমন্ত্রী এবং বাবা খান কাকশালকে বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত
করেন। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই মোগল বাহিনী বিহার পুণর্দখল করে
নেয়। তারসুন খান ও টোডরমল নামে দু’জন সেনাপতি বিহারের বিদ্রোহ দমনে
নেতৃত্ব দেন। সম্রাট আকবর পাঞ্জাবে মির্জা হাকিমের আক্রমণ প্রতিহত
করে কাবুল পর্যন্ত তার অনুসরণ করেন। বাংলার শাসনকর্তা বাবা খান
কাকশাল অসুস্থ হয়ে মারা যান এবং প্রধানমন্ত্রী মাসুম খান কাবুলী
পূর্ব বাংলায় এসে ভাটি রাজ্যের শাসক প্রতাপশালী জমিদার ঈশা খার সাথে
মিলিত হয়ে পববর্তীতে পাবনার চাটমোহর এলাকার অধিপত্য লাভ করেন। ১৫৮৩
খ্রীস্টাব্দে সম্রাট আকবর তার অন্যতম সেনাপতি শাহবায খানকে বাংলার
সুবাদার নিযুক্ত করেন। সুবাদার শাহবায খান মাসুম খান কাবুলীকে ধরার
জন্য ঈশা খার রাজ্যে ঢুকে তার বাড়ী কাতরাবু লুণ্ঠন করেন এবং
এগারোসিন্ধুর দখল করেন। এ সময় ঈশা খাঁ ও মাসুম খান কাবুলী
কুচবিহারের রাজার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। সুবাদার শাহবায খানের
আক্রমণের খবর পেয়ে ঈশা খাঁ ও মাসুম খান কাবুলী কুচবিহার থেকে ফিরে
মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে অগ্রসর হয়ে কিশোরগঞ্জের বাজিত পুরের নিকট
মোগল বাহিনীর সাথে খন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হন। এ যুদ্ধে সুবাদার শাহবায
খানের সহযোদ্ধা সেনাপতি তারগুণ খানকে মাসুম খান কাবুলী পরাজিত ও
হত্যা করেন। দী ৭ মাস শাহবায খান ঈশা খাঁ ও মাসুম খান কাবুলীর
বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মাসুম খান কাবুলীকে তার হাতে
অর্পণ করার জন্য ঈশা খাঁর প্রতি দাবি জানান। ঈশা খাঁ নানা অজুহাতে
কালপেণ করে ঢাকার মোগল কর্মচারী সাঈদ হোসেনকে বন্দী করে সন্ধির
প্রস্তাব দেন। এতে সমঝোতা না হওয়ায় ১৫৮৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর খাঁ ও
মাসুম খান কাবুলী ভাওয়ালের নিকট যুদ্ধে সুবাদার শাহবায খানকে
পরাজিত করেন। শাহাবায খান সমস্ত অধিকৃত এলাকা ছেড়ে তান্ডা দুর্গে
আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। সম্রাট আকবর শাহবায খানের পরাজয়ের সংবাদ শুনে
উত্তেজিত হয়ে ঈশা খাঁকে পদনত এবং মাসুম কাবুলীকে গ্রেফতার করার
জন্য বাংলা ও বিহারের সকল মোগল কর্মচারীকে এক সাথে মিলিত হয়ে
বাংলায় অভিযান চালানের নির্দেশ দেন। কিন্তু সুচতুর ঈশা খাঁ
যুদ্ধলব্ধ হাতি ও অস্ত্রপতিসহ সমুদয় মালামাল সম্রাটের নিকট ফিরিয়ে
দেন। ১৫৯৪ সালে সম্রাট আকবর রাজা মানসিংহকে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত
করেন।
রাজা মানসিংহ ঈশা খার বাসস্থান কাতরুবু আক্রমণের জন্য তার পুত্র
দুর্জন সিংহকে প্রেরণ করেন। ১৫৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুর থেকে
১২ মাইল দুরে ঈশা খাঁ ও মাসুম কাবুলী মোগল বাহিনীকে ঘিরে ফেলে।
যুদ্ধের এক পর্যায়ে মানসিংহের পুত্র দুর্জন সিংহ মাসুম খান কাবুলীর
হাতে নিহত হন। এই যুদ্ধে বহুসংখ্যক মোগল সৈন্যও নিহত হয়। এর পর
১৫৯৯ খ্রীস্টাব্দে ঈশা খাঁ’র মৃত্যুর পর তার পুত্র মুসা খান বাংলার
বারো ভূইয়াদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। মাসুম খান কাবুলী মুসা খানের
সাথেও মোগলদের বিরুদ্ধে বহুসংখ্যক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ এক
যুদ্ধ করে ১৬১১ সালে সুবাদার ইসলাম খানের সাথে নৌ-যুদ্ধে পরাজিত
হবার পর মুসা খান আত্মসর্মপণ করেন। কিন্তু বীর মুজাহিদ রণবিদ মাসুম
খান কাবুলী মোগল আধিপত্য স্বীকার করতে না পেরে নরসিংদীর তরোয়ার
তৎকালীন জংগলাকীর্ণ এলাকায় আশ্রয় নিয়ে গভীর আধ্যাত্মিক সাধনায় মগ্ন
হন।
“হক্কল্লাহ” এবং “হক্কাল ইবাদ” এ দু য়ের পরিপূর্ণতায় মাসুম খান
কাবুলীর অর্ন্তচু দিয়ে পরিণত হন আধ্যাত্মিক ফকিররূপে।
মর্দে-মুজাহিদ থেকে আধ্যাত্মিক ফকিরে উন্নীত হবার খবর দূর-দূরান্তে
ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে লোক তার শিষ্যত্ব গহণ করতে থাকে। অবশেষে
শিষ্যদের মাঝে তার মৃত্যু হলে তরোয়া গ্রামেই তাকে সমাহিত করা হয়।
সেই থেকে তার মাজারের নাম হয় কাবুল শাহ’র মাজার। মাসুম খান কাবুলী
তরোয়া জংগলে আশ্রয় নেয়ার সময় তার কোনো বংশধর সাথে ছিল না বলে তার
পরিচিতি ঢাকা পরে যায়। মাজারের খাদেমকূলও এ ব্যাপারে যথেষ্ট
অনুসন্ধান করেননি। ঐতিহাসিকদের মতে মির্জা মুমিন নামে মাসুম খান
কাবুলীর এক পুত্র পাবনার চাটমোহর এলাকার শাসক ছিলেন। বর্তমানে
সেখানে তার বংশধরগণ থাকতে পারেন। এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদক অনুসন্ধান
অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে কাবুল শাহ’র এ মাজারটি দীর্ঘদিন যাবৎ
অযতœ-অবহেলায় ক্রমশ: ধ্বংসের দ্বারাপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। মাসুম
খান পরিচিতি ঢাকা পড়ে থানায় সচেতন শিতি সমাজের মধ্যে মাজারটি নিয়ে
বিভ্রান্তি দেখা দিলে এক শ্রেণীর মাতাল ও সমাজ বিরোধী ব্যক্তি
মাজারটি দখলে নিয়ে বেদআতি কার্যকলাপ চালিয়ে মাজারের মর্যাদা ুন্ন
করছে। ভক্তদের নিকট থেকে আদায়কৃত লাখ লাখ টাকা কতিপয় ব্যক্তি আত্মসাৎ
করে। বর্তমানে মাজারের মূল ভবনটি ছাড়া মাজার এলাকায় উল্লেখযোগ্য
কিছুই নেই। পুরানো প্রাচীরের মূল্যবান ইটগুলো সব চুরি হয়ে গেছে।
এলাকার কিছু সচেতন ব্যক্তির অনুরোধে নরসিংদীর সাবেক জেলা প্রশাসক
আবদুস সামাদ মল্লিক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফরহাদ রহমান মাজারটিকে
প্রশাসনের পরিচালনাধীন আনেন। কিন্তু অর্থভাবে এর উন্নয়ন সাধন সম্ভব
হচ্ছে না। এদেশের ইতিহাস ও ঐহিহ্য সংরণের অংশ হিসেবেই মাজারটিকে
সংরণ প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন সরকারী সহযোগিতা।
. |